
সাধারণত আমরা জানি অলিভ অয়েল তেল একটি স্বাস্থ্যকর এবং উপকারীতা প্রদান করে । এই তেলে মূলত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ । এতেই সাধারণত হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । এছাড়া অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করে । এটি সাধারণত জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয় । তাই আসুন জেনে নেয়া যাক অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি । এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান থাকায় হৃদরোগের মতো বড় বড় রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে । অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে নিচে নিম্নলিখিত করা হয়েছে । এ সকল নিম্নলিখিত গুলো নিচে দেওয়া হল ।
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা কি?ঃ
- যেসব ব্যক্তির হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই অলিভ অয়েল অতি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই তেলের মধ্যে রয়েছে LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং HDL (ভাল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে । সাধারণত এটি রক্তচাপ কমাতে এবং রক্ত যেমন বাধা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
- এছাড়াও ক্যান্সারের মধ্যে বড় বড় রোগের ঝুঁকি সহায়তা করে । এই তেলের মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের কোষে বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে ।
- এরপর এটি সাধারণত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । অলিভ অয়েল তেল মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্মুক্ত করতে অনেকাংশে সাহায্য করে ।
- এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে । অলিভ অয়েল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ।
- শরীরের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এই তেলের গুরুত্ব অপরিহার্য ।
- সূর্যের তাপ থেকে শরীরের ত্বককে রক্ষা করে।
- ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ।
সাধারণত উপরে দেখা গেল যে অলিভ অয়েল তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কথাটা উপকারী এবং নিরাপদ খাবার বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে । এটি রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে সরাসরি খেতে পারেন । অনেক অংশ দেখা যায় যে এই তেল ব্যবহার করে অনেকজন এর উপকারিতা স্বীকার করেছে । তাই এই তেল ব্যবহার করার জন্য চেষ্টা করতে হবে ।
এরপর আসেন দেখে নেয়া যাক অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করার নিয়ম গুলো । কোন কোন নিয়মে এলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করব সেই বিষয়ে নিচে নিম্নলিখিত করা হয়েছে । নিচে নেমে লিখিত নিয়মগুলো দেখে নিতে পারেন ।
অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের নিয়মঃ
সাধারণত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের জন্য দুটি নিয়ম রয়েছে (১) , রান্না ব্যবহার করে খাওয়া যেতে পারে । (২) এছাড়া আপনি সরাসরি খেতে পারেন । তাই চলুন দেখে নেয়া যাক দুটি নিয়ম রান্না করে কিভাবে খাব এবং সরাসরি কিভাবে খাব ।
প্রথমত জেনে নেই,
রান্নায় ব্যবহার করার নিয়ম
- অলিভ অয়েল তেল হচ্ছে সাধারণত স্বাস্থ্যকর চর্বি যা রান্নার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প । অলিভ অয়েল তেল হচ্ছে একটি উচ্চ তাপমাত্রা তেল । এই তেল সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রায় পড়াতে হয়। তাই এটি ভাজা, গ্রিলিং এবং বেকিং এর জন্য উপযুক্ত । একটি হালকা অলিভ অয়েল একটি হালকা ৭ এবং গন্ধ রয়েছে যা অনেক ধরনের খাবারের সাথে মানানসই ।
সরাসরি খাওয়ার নিয়মঃ
- অলিভ অয়েল তেল সরাসরি খাওয়া যেতে পারে । এটি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক বা সালাদের উপর ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে অলিভ অয়েল একটি ভালো উৎস ভিটামিন ই যা একটি শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।
এ দুটি ছাড়াও আরো বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে । আসুন তাহলে জেনে নেই সেই সফল পর্যায়ে গুলো । আর কোন কোন মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়ে নিচে নিম্নলিখিত করা হয়েছে ।
- অলিভ অয়েল তেল সাধারণত চুলের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল তেল চুলে ব্যবহার করলে চুলের আদ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে শুষ্ক রক্ষতা এবং ভাঙ্গন দূর করতে সাহায্য করে ।
- এছাড়া তোকে ব্যবহার করা যেতে পারে । অনেক সময় দেখা যায় ত্বকের মধ্যে শুষ্ক ভাব দেখা দেয় । এই শুষ্ক ভাব দূর করার জন্য অলিভ অয়েল তেলের ব্যবহার অপরিহার্য ।
তাহলে আমরা দেখতে পেলাম যে অলিভ অয়েল তেলের সকল উপকারিতা সম্পর্কে । স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপত্তা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার হয় করতে পারেন । এছাড়াও কিছু অপকারিতার রয়েছে । অলিভ অয়েল তেল যে সকল অপকারিতা রয়েছে তার নিচে নিম্নলিখিত করা হবে ।
অলিভ অয়েল তেলের অপকারিতাঃ
সাধারণত অলিভ অয়েল তেলের কোন অপকারিতা নেই তবে কিছু কিছু দেখা দিতে পারে । অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে । আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যবহার বা সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে । এছাড়াও আপনি যদি কোন ওষুধ সেবন করেন তাহলে সেই ওষুধের সাথে বিক্রিয়া ঘটাতে পারে । তাই ওষুধ সেবন করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উত্তম ।