আমাশয় রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার কি? আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা! আমাশয় হলে করণীয় কি? আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা । আজকে এই সকল নানান প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেব । আমশয় একটি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস জনিত রোগ ।আমাশয় রোগের ঔষধের নাম । এই ব্যাকটেরিয়া যখন পাকস্থলীতে সংক্রমনের সৃষ্টি করে তখনই আমাশয়ের সৃষ্টি হয় ।
এছাড়াও ডায়রিয়া এবং পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে । তাই সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করে চলা ভালো । অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন পচা বা দূষিত খাবার থেকে এই আমাশয় সৃষ্টি হয় । বিশেষ করে হাট-বাজারে যে সকল খোলা-খাবার রয়েছে সেগুলো থেকেই মূলত সৃষ্টি হতে পারে । তাই খোলামেলা খাবার থেকে বিরত থাকুন । এইসব খাবারের বিভিন্ন মশা মাছি স্পর্শ করায় এই রোগ গুলো ছড়ায় । আসুন এবার জেনে নেয়া যাক
আমাশয় রোগের লক্ষণঃ
- পেটে ব্যাথা এবং অস্বস্তিকার ভাব ।
- অতিরিক্ত পরিমাণে মলত্যাগের চাপ দেওয়া ।
- মাথা ব্যাথা করা ।
- মলত্যাগ পরিবর্তন হওয়া । যেমন সর্দির মতো বের হওয়া । এছাড়া আর বিভিন্ন রকমের হতে পারে ।
- পাতলা রক্তাক্ত বা শ্লেষ্মাযুক্ত পায়খানা হতে পারে ।
- বমি বমি ভাব হাওয়া ।
পুকুরের এই সমস্যা গুলো যদি আপনার মধ্যে প্রকাশ পায় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার শরীরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস পরজীবী সংক্রমণের কারণে আপনার এই সমস্যাটি হয়েছে । আমাশয় এর কারণে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে তাই অতি দ্রুত ডাক্তারি চিকিৎসা করা জরুরী । এছাড়া কিছু ঘরোয়া চিকিৎসাও প্রতিকার রয়েছে । ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকার নিচে উল্লেখ করা হয়েছে । যদি আপনার চিকিৎসা করতে সময় লাগে তাহলে নিচের এই ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারেন ।
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও করণীয়ঃ
- চা বা লবঙ্গ আমাশয়ের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে । হালকা একটু গরম পানিতে লবঙ্গ আর একটু চা পাতা দিয়ে চা খেতে পারেন ।
- এছাড়াও রয়েছে আদা” আদতে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি । চা এবং আদার রস পান করতে পারেন ।
- এছাড়াও ওটমিল খাবার খেতে পারেন ওটমিল হচ্ছে একটি হালকা এবং পুষ্টিকর খাবার যা আমার শায়ের সময় পচন করতে সাহায্যে সহজ ।
- এছাড়া না দেখলে পানি পান করতে পারেন । নারকেলে পানিতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইট বিকল্প যা পানি শূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
- এছাড়া তরল পানি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন । যেমন স্যালাইন , ফলের রস ইত্যাদি ।
এগুলো নিয়মিত খেতে থাকেন দেখবেন যে কিছুক্ষণের মধ্যে একটু হলেও আরাম পাবেন । এছাড়া যদি আমাশয় অতিরিক্ত দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করবেন । যে টিপসগুলো দেয়া আছে এগুলো শুধু শরীরকে ঠিক রাখার মত । অতিরিক্ত পরিমাণে আমার সাথে দেখা দিলে আপনাকে ওষুধ সেবন করতে হবে । এসব আমার সকালে কি কি খাবার খেতে পারবেন তার নিচে একটি তালিকা দেয়া হল
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকাঃ
- তরল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ । পানি শূন্যতা এড়াতে সাহায্য করবে । এছাড়াও পানি ফলের রস ছুপ এবং অন্যান্য তরল পানীয় পান করা দরকার ।
- এছাড়াও রয়েছে প্রোটিনযুক্ত খাবার । প্রোটিনযুক্ত খাবারের একজন আমাশয় রোগীর শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত অন্ত্র গুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করবে । প্রটিনযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে মাছ’ মুরগি’র ডিম’ ডাল’ এবং খাবার খান ।
- এরপর রয়েছে আঁশযুক্ত খাবার । এইসব খাবার খেলে পচন তন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল । তবে আমাশয়ের জন্য আঁশযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন কারণ আর যুক্ত খাবার ডায়রিয়াকে আবার খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে । তাই আপনি যখন ডায়রিয়া বা আমার সাথে কি সুস্থ হবে তখন আবার পুনরায় এটি চালু করতে পারবেন । বর্তমানে আমাশয় থাকা অবস্থায় আঁযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন ।
আমাশয় হচ্ছে একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোজা পাতলা পায়খানা রক্ত আমাশয় পায়খানার সাথে যুক্ত । সাধারণত এটি ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এবং পরজীবীর সংক্রমণের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন পাতলা পায়খানা রক্ত আমাশয়ে পরিণত হতে পারে । তাই যে কোন খোলা-খাবার থেকে সাবধান । খাবার আগে অবশ্যই দুই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন।
আমাশয় রোগের ঔষধের নামঃ
- আমাশয়ের রোগ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর প্রয়োজন পড়ে । তাই আপনাদের আমি আজ কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম দিয়ে যাবে এগুলো দিনে দুইবার করে খেলে দুই-একদিনের মধ্যে আমার সেরে যাবে । অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট আমাশয়ের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে । তাই নিচে দুটি আমাশয় বা ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম দেয়া হলোঃ
- একটি হচ্ছে মেট্রো ৪০০
- আরেকটি হচ্ছে এমোডিস ৪০০
- অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়ার আগে গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট সেবন করবেন ।