
আজকে আলোচনার বিষয় হচ্ছে আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাবার নিয়ম । নিঃসন্দেহে আলকুশি গাছ একটি ঔষধি গাছ .। আজকে আলকুশি গাছের গুনাগুন সম্পর্কে এবং এটি কি কি কাজে ব্যবহৃত হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করব । মূলত এই গাছটিতে রয়েছে ইনফ্লামেটরি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট,এছাড়া রয়েছি আন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্ট্রি ফাংগাল বৈশিষ্ট্য । তাই চলুন দেখে নেয়া যাক ।
আলকুশি বীজের উপকারিতা
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে আলকুশি বীজের গুরুত্ব অনেক । এছাড়াও পেট ফাঁপা গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলো দূর করতে এটি ব্যবহার করা হয় ।
- আলকুশি বীজ গুরুপ করে খেলে এটি পাকস্থলের এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ।
- সর্দি কাশি বা আমাশয়ের ক্ষেত্রে এটি খুব ভালো কাজ করে । আমারশায়ের ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি কাজ করে ।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই বীজের উপকারিতা অপরিহার্য । কেননা এই বীজ শরীরের রক্তে শর্করা মাত্র নিয়ন্ত্রণ রাখে । এছাড়াও এই ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নতি সাধন করে ।
- এই বিষদ্র প্রতিরোধ করতে । উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
- এর সবথেকে বড় গুণাগুণ হচ্ছে আলকুশি বীজের দুর্দান্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে । যা কোষের ক্ষতি থেকে কোষ কে রক্ষা করে ।
এছাড়াও আলকুশি বীজের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বা অপকারিতা রয়েছে । এবার আসুন জেনে নেয়া যাক কি সে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে শরীরের মধ্যে । তবে অনেকে রয়েছে যারা আলকুশির বীজকে অনেক নিরাপদ বলে মনে করে । চলুন তাহলে এবার দেখে নেই এই বীজের পার্শ্ব- প্রতিক্রিয়া কি কি হতে পারে
আলকুশি বীজের অপকারিতাঃ
- বমি বমি ভাব হতে পারে ।
- আবার বমিও হতে পারে ।
- এছাড়াও ডাইরিয়া বা পানি বা পানিবাহিত রোগ হতে পারে ।
- ত্বকের সমস্যাও হতে পারে , যেমন চুলকানি ।
উপরের যেসকল সমস্যার কথা বলা হয়েছে সেই সকল সমস্যা যদি আপনার মধ্যে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্টারের সাথে পরামর্শ করতে হবে । কেননা এছাড়াও অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে । তাই পরামর্শ করা ভাল । অনেক যুগ থেকে এর ব্যবহার হয়ে আসছে । আগেকার মানুষ বিভিন্ন রোগে তারা এই সকল নানা গাছ-গাছরার ডাল-পালা , মূল-শেকড় থেকে ওষুধ বানিয়ে খেত । তাই এবার আসুন দেখে নেই এই বীজ খাওয়ার নিয়ম ।
আরও পড়ুন
আলকুশি বীজ খাওয়ার নিয়মঃ
মানুষ এই বীজ কে অনেক আগে থেকে ব্যবহার করে আসছে । যুগ যুগ থেকে এই বীজের উপকারিতা সর্ম্পকে বলে আসছে । এখ্নো অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে এর বীজ ব্যবহার করে আসছে । এই বীজ বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে যেমন, চা, কফি বা দুধের সাথে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে । এছাড়াও এটি মসলা হিসাবে খাবারে ব্যবহার করতে পারেন । তরি-তরকারিতে এক প্রকার মসলা হিসাবে খাওয়া যেতে পারে ।