রেজাল্ট

 কুনুর আল্প প্রকৃত ইতিহাস কুরুলুস উসমান

কুনূর আল্প কুরুলুস ওসমান এ  চরিত্র সাধারণ কোনো চরিত্র নয়।এটি একটি ঐতিহাসিক চরিত্র। ওসমানী ইতিহাসে কুনুর আরবের ইতিহাস এখনো সংরক্ষিত রয়েছে।উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ওসমান গাজীকে যারা একান্ত ভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কনুর আল্প।

ওসমান কায়ী বে হওয়ার আগ থেকে কয়েকজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছিল, পরবর্তীতে ওসমান কায়ী বে হওয়ার পর সহযোগী তথা সামসা সাবুজ, আইকুত আল্প’, আব্দুর রহমান গাজীরা তার বিশ্বস্ত সেনাপতি হয়ে উঠেছিলেন।

উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে এই বীর সেনানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

তবে কনুর আল্প ওসমানের প্রথম দিকে বন্ধু তালিকায় না থাকলেও পরবর্তীতে তিনি তার বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে ওঠেন। ১৩০০ সাল বা এর কিছু পরে ওসমান পশ্চিম আনাতোলিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেন।

এই অভিযানে তিনি কোন কনুর আল্পকে প্রধান সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।তখন কনুর আল্প ঐসময়ের টেকফুরদেরকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।তুর্কি ইতিহাসে উল্লেখ আছে, কনুর আল্প ওসমান গাজীর মৃত্যুর পর ওরহান গাজীর আদেশ মেনে অভিযান অব্যাহত রাখেন।

মূলত ওরহান গাজী তার পিতা জীবিত থাকা সময়ে সামরিক প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এই পবিত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি কনুর আল্পকে কৃষ্ণসাগর সহ আশপাশের এলাকা দখল করার জন্য প্রেরণ করেন।

এসময় কনুর আল্প আকিয়াজ, মডারনুর, সাকারিয়া ও প্লেন্ডেছিন জয় করে নেন। তৎকালীন তুর্কি ইসলামিক গবেষকদের মতে তিনি ওরহান গাজীর আদেশ আয়াডোস এবং ক্যাসিলো দখল করে নিয়েছিলেন। একাধিক অভিযানের পর তিনি শেষ পর্যন্ত কুনরপও জয় করেন।

কনুর আল্প’ ১৩২১ সালে বুরসা বন্দরের অন্তর্গত মারমা সাগরের পার্শ্ববর্তী মুডেয়ানা জয় করে নিয়েছিলেন। পশ্চিম কৃষ্ণসাগরের আশেপাশের অঞ্চল জয় করার পর ওরহান গাজীর নির্দেশে কনুর আল্প’ বুরসা শহর দখল করে নেন।

১৩২৩ সালে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের কাছ থেকে হাইপিয়ান শহর দখল করে নেন।ওসমান তার সেনাপতি কনুর আল্পের কাছে শহরটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।১৩২৩ সালে তিনি বুর্সা বিজযয়ে বীরত্ব প্রদর্শন করেন। তখন তার খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ।

ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে ১৩২৮ সালে তিনি মারা যান। বলা হয়েছে তাঁকে ডুজেছে সমাহিত করা হয়েছিল।কনুর আল্পের মৃত্যুর পর তার দায়িত্ব প্রথম মুরাদকে দেয়া হয়।

কুরুলুস উসমান নামে সিরিজ এ কনুর আল্পের চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button