
পৃথিবীতে কম মানুষই আছে যাদের কোমরের সমস্যা বা ব্যথা নেই হোক সে মহিলা বা পুরুষ । খুব অল্প বয়সে কোমরের ব্যথা হতে পারে । আজকে আলোচনা করব কোমরের ব্যথা কমানোর বা সারানোর সহজ ঘরোয়া উপায় । এছাড়াও কোমর ব্যথার কি কি ওষুধ লাগে তার নাম সহ দেওয়া হবে । এই ব্যথা তীব্র এবং হালকা হতে পারে । কোমরের ব্যথার বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন , এক পাশ হয়ে শুয়ে থাকলে কোমরের ব্যথা হতে পারে । ভারী কোন বস্তু তুলতে কোমরের রগ নড়তে পারে। এছাড়াও ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে এর ব্যথা অনুভব হতে পারে । এরপর রয়েছে একাধারে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে কোমরের ব্যথা হতে পারে । এছাড়া আরও অনেক রকম কারণ হতে পারে । আসুন আজকে দেখে নেই এই সকল সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারি ।
কোমরের ব্যথা কমানোর বা সারানোর সহজ ঘরোয়া উপায়ঃ
কোমরের ব্যথার অতি সামান্য বা তীব্র হলেও কিন্তু এই ব্যথাটি অসহ্যকর । অনেক সময় দেখা যায় যে ২-১ দিন এই ব্যথা থাকার পর একাই কমে যায় বা সেরে যায় । আবার দেখা যায় যে দীর্ঘদিন থেকেই ব্যথা রয়ে যায় । অনেকেই অনেক রকমের চিকিৎসা করেও এই ব্যথা সারাতে পারেনা । তাই আসুন দেখিনি কোমরের ব্যথা কমানো বস হারানোর সহজ উপায় কি তাও আবার ঘরোয়া উপায় ।
- অনেক সময় দেখা যায় যে গ্রামে-গঞ্জে বালু হালকা গরম করে কমরে সেঁক দিলের ব্যথা কমে যায় । আপনি এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন ।
- এছাড়া আদা খেতে পারে । আদতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।
- এছাড়া দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন । এটি খেলে আপনার ব্যথা অনেকটাই কমে যেতে পারে ।
- এরপাই ম্যাসাজ করতে পারেন । মেরুদন্ডের নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করে ম্যাসাজ ।
- এরপর বরফ বা তাপ প্রয়োগ করতে পারেন ।
- এছাড়াও ফিজিওথেরাপিস্ট বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবার পেশাদার ব্যথার কারণ নির্ণয় এবং কার্যকর চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে ।
- ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম খাদ্য গ্রহণ করা । এ সকল খাদ্য হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।
অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণঃ
কোমর ব্যথা করার কোন বয়স লাগে না । যেকোনো বয়সেই এই ব্যথা হতে পারে । সাধারণত দেখা যায় অল্প বয়সে কোমর ব্যথার মূল কারণ হচ্ছে মেরুদন্ডে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা । এরপরও আর কিছু কারণ রয়েছে যেমন মেরুদন্ড সোজা হয়ে শুয়ে না থাকার কারণে এই সমস্যা হতে পারে । এরপর আর একটু বড় কারণ হচ্ছে মেরুদন্ড ক্ষয় হয়ে যাওয়া । মেরুদন্ডের মধ্যে আর যদি ক্ষয় হয় তাহলে এই ব্যথা অনুভব হতে পারে । যদি ব্যথা তীব্র অনুভব হয় তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত । কেননা অল্প বয়সে মেরুদন্ডের চিকিৎসা দ্রুত কাজ করবে । তাই অবহেলা না করে অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত ।
কোমরের ব্যথা প্রতিরোধেঃ
- শরীরের ওজন বজায় রাখা ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা ।
- ভারী জিনিস তোলার সময় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা ।
- সঠিকভাবে বসা বা দাঁড়ানো বা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন ।
- ভারী জিনিস তোলার আগে মেরুদন্ড ধীরে ধীরে সোজা করুন ।
উপরের যে সকল ঘরোয়া টিপস গুলো দেওয়া হয়েছে সেই সকল টিপস গুলো মেনে যদি আপনার কোমরের ব্যথা না কমে তাহলে নিচের দেওয়া যে সকল ট্যাবলেটের নামদেওয়া হয়েছে সে সকাল ট্যাবলেট সেবন করলে আপনার ব্যথা কমে আসতে পারে । অবশ্যই ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে । তাই আসুন দেখে নেয়া যাক ট্যাবলেট গুলোর নাম
কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেটঃ
- ইবুপ্রোফেন, অয়াসিটামিনোফেন, নাইফেডিপিন এই সকল ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ।
- মর্ফিন, অক্সিকোডোন, হাইড্রোকোডোন -এই ওষুধগুলো হচ্ছে ব্যথার জন্য আরও শক্তিশালী চিকিৎসা প্রদান করে
- অ্যান্টি ডিপ্রোসেন্ট, অ্যান্টি অ্যাংজাইটি-ব্যথার সাথে যুক্ত উদ্বেগ এবং বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে
- মেথোট্রেক্সোট, লেফলুনামিড, সালফাসালাজিন- দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয় ।
আবার বলছি এ সকল ট্যাবলেটের নাম আপনি শুধু ডাক্তারকে বলবেন । ডাক্তার যা পরামর্শ দিয়ে সেই পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট গুলো সেবন করবেন ।