গর্ভাবস্থায় মাসিক হয় কেন? গর্ভাবস্থায় মাসিক হলে কি হয়?

 গর্ভাবস্থায় মাসিক হয় কেন? গর্ভাবস্থায় মাসিক হলে কি হয়?

গর্ভাবস্থায় মাসিক হয় কেন ? গর্ভাবস্থায় মাসি্ক হলে কি হয়? কোন সমস্যা হয় ।যখন কোন নারী গর্ভবতী হয় তখন নানা প্রশ্ন তার মনে জন্ম নেয় ।  একটুতেই হতাশ হয়ে পড়ে ।  আজকে সেই সকল নারীদের এসব হতাশা দূর করে দেবো । আপনারা শুধু মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো পড়বেন । গর্ভাবস্থায় মাসিক কখন হয় না । নারীর যখন মাসিক হয় তখন ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানোর নিঃসরণ এবং ডিম্বাণুর নিষিদ্ধকরণ না হলে জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আস্তরণের ঝাড়ে পড়া  । আসেন আবার সুন্দর মত জেনে নেয়া যাক গর্ভ অবস্থায় রক্তের মত বা মাসিক কেন হয় । 

 গর্ভাবস্থায় মাসিক হয় কেন?

একটি নারী যখন প্রথম অবস্থায় গর্ভধারণ করে তখন কিছু কিছু মহিলার হালকা রক্তপাত বা দাগ অনুভব করতে পারে ।  এই রক্তপাত বা দাগ কে বলা হয় ইমপ্লান্টেশন । এই রক্তপাত যখন হয় তখন নিষিদ্ধ ডিম্বাণু জরায়ুর আস্তরণের সংযুক্ত হয় ।  এই রক্তপাত সাধারণত হালকা ও সল্প স্থায়ী হয়ে থাকে । 

 গর্ব অবস্থায় শেষের দিকে কিছু কিছু মহিলার প্রসব পূর্ব রক্তপাত অনুভব করতে পারে।  মহিলাদের তখন হালকা একটু রক্তপাত চলে আসতে পারে । প্রসবের পূর্বে হালকা ও স্বল্প স্থায়ী রক্তপাত এটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে । কোন সমস্যাকে ছোট করে দেখবেন না । আপনি যদি এটি অতিরিক্ত সমস্যা মনে করেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন ।  আপনি আপনার নিকটস্থ  যে কোন গাইনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এই সমস্যা সমাধান করে নিতে পারবেন ।

গর্ভাবস্থায় মাসিক না হওয়ার কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:

কোন মহিলা যখন করব গর্ভবতী হয় তখন সেই মহিলাটির পরিবর্তন ঘটে থাকে ।  এই পরিবর্তনটি হলো হরমোন যখন ডিম্বাশয় থেকে নিঃসরণ এবং জরায়ু আস্তরণে ঝড়ে পড়া প্রতিরোধ করে ।  গর্ভফুলের উপস্থিতি জরের অভ্যন্তরের সাথে সংযুক্ত থাকে ।  গর্ভফুলের উপস্থিতি জরায়ুর অস্তূরণের সাথে সংযুক্ত থাকে । গর্ভফুলের উপস্থিতি জরায়ুর আস্তরনে ঝড়ে পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । গর্ভাবস্থায় কোন নারীর মেশিন না হয় এটি সাধারণ একটি ।  তবে আপনি যদি গর্ভাবস্থায় মাসিক অনুপাত বা অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে । 

 গর্ভবস্থায় মাসিক না হওয়ার কিছু ঘটনাঃ

সাধারণত ৮০ভাগ মহিলা মানুষেরই গর্ভাবস্থায় মাসিক হয় না ।  আর যে সকল মহিলাদের গর্ভ অবস্থায় মাসিক হয় সেগুলো হচ্ছে সাধারণ কিছু রক্তপাত বা দাগ ।  ডিম্বশাই থেকে ডিম্বানুর নিঃসরণ এবং ডিম্বা নুর নিষিদ্ধকরণ না হলে যারা এর অভ্যন্তরীণ আস্তরণের ঝরে পড়া্র  কারণ এটি । কোন গর্ভবতী মহিলার গর্ভবস্থায় ডিম্বাশয় থেকে যে ডিম্বাণু নিষ্করন বন্ধ হয়ে যায় এবং যারাই তো একটি গর্ভফুল গঠিত হয় যা ভ্রুনের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে ।  মহিলাদের গর্ভফুলের উপস্থিতির কারণে জরায়ুর আস্তরণের ঝাড়ে পড়া বন্ধ হয়ে যায় । 

আরও পড়ুন

দিকনির্দেশনা

 আপনি যদি মনে করেন এটি একটি বড় সমস্যা তাহলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি কোন মহিলা গাইনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে  পারেন ।  এছাড়া যদি আপনি মনে করেন যে এটি একটি সামান্য বিষয় তাহলে কয়েকদিন দেখার পর যদি কমে না আসে তাহলে আপনি একজন ভালো গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন ।  যে কোন জিনিসকে অবহেলা না করাই ভালো ।  কারণ সামান্য একটি সমস্যার কারণে প্রাণঘাতিক সমস্যা হতে পারে । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *