
আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে দাদ বা দাউদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা । এছাড়াও দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ঔষধ এর নাম । এছাড়াও আমরা এটিকে আরেকটি নামই চিনি সেটি হচ্ছে চুলকানি । আজকের সকল চুলকানির দাদ/ দাউদ এর মলমের নাম বা ওষুধের নাম বলে দেবো । আমরা জানি নিঃসন্দেহে দাউদ হচ্ছে একটি ছোঁয়াচে রোগ । এর রোগ সহজেই শরীর থেকে যেতে চায় না । আরেক কারণ হচ্ছে আমাদের অলসতার কারণে ।
দাউদ শরীরের পুষিয়ে রাখতে অনেক ভালো লাগে । কিন্তু যখন চুলকানি শুরু করে তখন অনেক ভাল লাগে , চুলকানো শেষ হলে খারাপ লাগে । আপনি যদি সানি ঠিক ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করতে তবুও পারবেন । আবার যদি চান যে এটি মলম বা ওষুধের দ্বারা নির্মল করবেন তবুও পারবেন । তাহলে চলুন প্রথম অবস্থা দেখে নেয়া যাক এর ঘরোয়া চিকিৎসা কি ।
দাদ/দাউদ এর ঘরোয়া চিকিৎসা ঃ
- আপনাকে একটি সিমের পাতা নিতে হবে । সিমের পাতা দু রকমের হয়ে থাকে । যেটি সম্পূর্ণ কালো রঙের সেটি আপনাকে নিতে হবে । সিম গাছ থেকে দুই থেকে তিনটি পাতা আপনাকে নিতে হবে ।
- এরপর সেই পাতাগুলোকে একটি বাটনার সাথে পিশিয়ে নিতে হয় । এমনভাবে পিশিয়ে নিবেন যেন রসগুলো পাতার মধ্যে থাকে । যদি দেখেন যে পাতা থেকে রস গড়িয়ে পড়ছে তাহলে আপনি পুনরায় পাতার মধ্যে ভিজিয়ে নিবেন । ঝিম পাতার রস পেশানো হলে একটি পরিষ্কার বাটিতে রেখে দিন ।
- এরপর আপনার চুলকানির দাদ/দাউদ যে জায়গায় হয়েছি সেটি কি ভালো করে চুলকিয়ে নিন । দাদ চুলকানোর পর সেখান থেকে আটা/ তরল পদার্থ বের হবে । হালকা একটু গরম পানি করে সেই তরল পদার্থগুলো মুছে নিন।
- এরপর একটি পরিষ্কার কাথা দিয়ে মুছে নিন । মোছা শেষ হয়ে গেলে বাটিতে রাখা সিমের যে রসগুলো রয়েছে সেই রস গুলো আপনার দাদ/দাউদ এ লাগান ।
- প্রথম অবস্থায় যখন রসগুলো আপনার দাদার উপর পড়ে যাবে তখন প্রচুর পরিমাণে জ্বালাপোড়া করতে থাকবে .
- আপনার মনে চাইবেই যেন রষ গুলো মুছে ফেলি । কিন্তু ভুলে আপনি কাজ করবেন না । করলে আপনার দাউদ কখনোই ছাড়বে না । আপনাকে সহ্য করে থাকতে হবে ।
- এভাবে দিনে একবার করে দুই থেকে তিন দিন লাগানোর পর দেখবেন আপনার ্দাউদ সারা জীবনের জন্য দূর হয়ে গেছে ।
- আর হ্যাঁ ওই জায়গা কালো হয়ে যেতে পারে ।
উপরের যে সকল দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আপনি সকল দিক নির্দেশনা মেনে চললে দেখবেন যে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার দাউদ সারা জীবনের জন্য চলে যাবে । আপনি যদি ক্রিম বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন যে নাও ছাড়তে পারে পরবর্তীতে আবার উঠতে পারে । কিন্তু এই টেকনিক যদি আপনি অবলম্বন করেন তাহলে দেখবেন আর জীবনে ওই জায়গায় দাউদ উঠবে না ।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলমঃ
আপনার যদি হাতে কানে বা দুই পায়ের মাঝখানে বা যে কোন জায়গায় হয়ে থাকুক না । আপনি শুধু একবার এই মলম টি ব্যবহার করবেন দেখবেন যে ২-১ দিনের মধ্যেই আপনার দাউদ/দাদ চুলকানি সম্পূর্ণ রূপে সেরে যাবে । আর হ্যাঁ এই মলমটি ব্যবহার করতেই হবে । যদি দেখেন আপনার দাগ আর চুলকাচ্ছে না তবুও আপনি লাগাবেন । আর মলমটি ভালো করে রেখে দিবে যখনই দেখবেন আরো উঠার চিন্তাভাবনা রয়েছে সাথে সাথে আবার লাগিয়ে দিবেন । নিচে মলমটির নাম দেওয়া হল ঃ
দাদ/দাউদের মলমের নামঃ ট্রাইকোডার্মা ১০ গ্রাম – Tricoderma- 10 mg cream । দাদ/দাউদের মলমের দাম সর্বোচ্চ -৪০ থেকে ৪৫ টাকা নিতে পারে ।
দাউদ এর সবচেয়ে ভালো ওষুধঃ
দাউদের ওষুধের অভাব নেই । একেক ব্যক্তি একেক রকমের ওষুধ খেয়ে থাকে । কিন্তু পরিশেষে দেখা যায় যে প্রতি এক মাস পর আবার উঠে এই দাদ । তাই আজকের ওষুধ টির নাম ভালো করে মনে রাখবেন । এটি একটি এন্টিবায়োটিক। একটি খারাপ অবশ্যই আপনাকে দুধ কলা বা ডিম খেতে হবে । ওষুধটির নাম হচ্ছে । ফ্লুগাল ট্যাবলেট ৫০ গ্রাম – Flugal tablet 50 mg ।
প্রতিদিন খাবার পর রাতে একটা করে খাবেন । এটি খাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে দেখবেন যে নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে আপনার চুলকানি বা দাউদ ।