সাধারণ জ্ঞান

মুজিবনগর সরকার গঠন

মুজিবনগর সরকার গঠন মুক্তিযুদ্ধকে গতিময় ও সুসংহত করার জন্য, ভারতীয় আশ্রয়গ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ বাঙালির দেখাশোনা এবং বহির্বিশ্বে বাঙালি জাতির ভাবমূর্তিকে তুলে ধরার জন্য প্রবাসী সরকার গঠনের চিন্তাভাবনা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকে গতিময় ও সুসংহত করার জন্য, ভারতীয় আশ্রয়গ্রহণকারী লক্ষ লক্ষ বাঙালির দেখাশোনা এবং বহির্বিশ্বে বাঙালি জাতির ভাবমূর্তিকে তুলে ধরার জন্য প্রবাসী সরকার গঠনের চিন্তাভাবনা করা হয়। 1971 সালের 10 এপ্রিল ঘোষিত হয় ‘বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণার আদেশ’।মুজিবনগর সরকার গঠন

মুজিবনগর সরকার গঠন

অবশেষে 1971 সালের 10 এপ্রিল ঘোষণা অনুযায়ী স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারের প্রধান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই তার নাম অনুসারে বৈদ্যনাথ তলার নতুন নামকরণ করা হয় মুজিবনগর এবং অস্থায়ী সরকার ও পরিচিত হয় মুজিবনগর সরকার নামে। এ সরকার ‘প্রবাসী সরকারের’ ‘অস্থায়ী বিপ্লবী’ সরকার  পরিচিত মুজিবনগর সরকার নামে। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী করা হয় মুজিবনগর কে, সরকারি স্থায়ী সচিবালয় স্থাপিত হয় কলকাতার 8 নং থিয়েটার রোডে। মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার এর গঠন ছিল নিম্নরূপ।

রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (পাকিস্তানের কারাগারে আটক)

উপরাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি)

প্রধানমন্ত্রী-তাজউদ্দিন আহমেদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী-খন্দকার মোশতাক আহমেদ।

অর্থমন্ত্রী-ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত মনসুর আলী

স্বরাষ্ট্র ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী-এ এইচ এম কামরুজ্জামান।

সেনাবাহিনীর উপপ্রধান এবং চিফ-অফ-সফ-কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত এম এ জি ওসমানী।

ডেপুটি চিফ-অফ-স্টাফ ও বিমানবাহিনীর প্রধান- এ কে খন্দকার।

কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর ছিল তখন হানাদার মুক্ত

  1. এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। মেহেরপুরের ভবেরপাড়া এবং গ্রামের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বহু দেশি বিদেশি সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা এবং আইনসভার সদস্যদের উপস্থিতিতে 1971 সালের 17 এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আইনসভার সদস্য ও প্রখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
  2. এই স্বাধীনতার ঘোষণা কার্যকর হয় 26 শে মার্চ থেকেই। মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও অধ্যাপক ইউসুফ আলী পরিচালনা করেন। প্রবাসী সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, কমিউনিস্ট পার্টির কমরেড মনি সিং, কংগ্রেসের শ্রী মনোরঞ্জন ধর এবং আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি নিয়ে সর্বমোট 9 সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। এই উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। লন্ডন নিউইয়র্ক স্টকহোম এবং কলকাতা কূটনৈতিক মিশন খোলা হয়। এ দূতাবাসগুলোতে বাংলাদেশের পক্ষে বহির্বিশ্বের বিশেষ দূত হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু সাঈদ চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button