May 17, 2024
এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি? এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয়?

এপেন্ডিসাইটিস হলো অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ । এই অ্যাপেন্ডিসাইটের ব্যাথা অতি তীব্র এবং অসহ্যকর । তাই আসুন জেনে নিই এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি?  অ্যাপেন্ডিসাইটিস  হলে করণীয়? অ্যাপেন্ডিসাইটিস কেন হয়? এসব তথ্য জানবো আজকে ।  অ্যাপেন্ডিসাইটিস আছে একটি মারাত্মক সমস্যা বা  রোগ ।

এই  রোগটির কারণে অনেকেই মারা যায় ।  কেননা অ্যাপেন্ডিসাইটিস একটি জরুরি অবস্থা ।  অ্যাপেন্ডিক্সের ফেটে গেলে এটি পেটের ভিতরে বিভিন্ন রকম সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে । যার জীবন হুমকির মুখে পড়তে হয় ।  তাই আসুন দেখিনি কোন কোন লক্ষণ গুলো দেখলেই বুঝব অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ ।  এই লক্ষণ গুলো চিহ্নিত করা আমাদের জরুরী তাই এ সকল চিহ্ন বা লক্ষণ নিচে নেমে লিখিত করা হলো, 

এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কিঃ

সাধারণত কতগুলো লক্ষণ দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে এ সকল লক্ষণ অ্যাপেন্ডিসাইটে লক্ষণ হতে পারে । এপেনডিসাইটির সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে তলপেটে ডান দিকে তীব্র ব্যাথা  সাধারণত নাভির চারপাশে শুরু হয় এবং তারপর ধীরে ধীরে ডান দিকের নিম্নাংশে হস্তান্তরিত হয় । এই ব্যথাটি সাধারণত চাপ দিলে বা হাটলে অথবা কাশি দিলে ব্যথা আরো তীব্রতার হয়ে ওঠে ।  এছাড়া আরো কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যে সকল লক্ষণ দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ সম্মুহ এগুলো 

  • সাধারণত এই সমস্ত রোগীর তলপেটে  ফোলা ভাব । 
  •  এরপর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বা ডায়রিয়া হওয়া । 
  •  এরপর জ্বর হয় । 
  •  সাধারণত বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ।
  •  এছাড়াও  খাবার রুচি না থাকা । 

এপেন্ডিসাইটিস একটি জরুরি অবস্থা ।  যত দ্রুত পারেন এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন ততই আপনার রোগীর জন্য ভালো ।  তাহলে উপরের সকল লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষন ।  এই সকল লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই একজন ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা বা পরামর্শ নেওয়া জরুরী ।  কেননা এই রোগটি কারণে অনেকের মৃত্যুর কোলে ঢেলে দিতে পারে ।  এরপর আসুন দেখে নেয়া যাক এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ দেখা দিলে কোন কোন চিকিৎসা পদ্ধতিতে এটি নির্মূল করা হয় । 

আরও পড়ুন

 অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর চিকিৎসা বা করনীয়:

 সাধারণত দেখা যায় যে অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর নির্মাণের জন্য ডাক্তার সাধারণত কিছু পরীক্ষা পরিচালনা করতে পারেন ।  আসুন তাহলে দেখিয়ে নেয়া যাক এই সমস্যার জন্য কোন কোন চিকিৎসা পদ্ধতি ডাক্তার দিয়ে থাকেন ।

  • প্রথম অবস্থা আপনাকে শারীরিক পরীক্ষা করাতে পারি ।
  •  এরপর  ব্লাড টেস্ট বা রক্ত পরীক্ষার  করাতে পারে ।
  •  এছাড়াও ইমোজিং পরীক্ষা,এছাড়া আরো বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা দিতে পারে যেমন ,  আল্ট্রাসনোগ্রাম বা সিটি স্ক্যান । 

এখন তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক এপেন্ডিসাইটিস কি । আসলেই অনেকেই জানে না এই সমস্যাটা কি বা কেন হয়  । তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক 

এপেন্ডিসাইটিস কিঃ

সাধারণত অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলো অ্যাপেন্ডিক্সের । অ্যাপেন্ডিক্সের হলো একটি ছোট নলাকার অঙ্গ যা বৃহদান্তের প্রথম অংশে অবস্থিত । 

এপেন্ডিসাইটিস কেন হয়ঃ

সাধারণত এই সমস্যাটি সঠিক কারণ অজানা তবে এটা বলা যেতে পারে অ্যাপেন্ডিক্সের লুমেন বা গহবর বন্ধ হয়ে গেলেটি ঘরে থাকে ।  মূলত এই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অ্যাপেন্ডিক্সের টিস্যুতে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে । আর এইসব সমস্যা থেকে এপেন্ডিসাইটিস এর ব্যথা শুরু হয়ে যায় । 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *