April 27, 2024
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার । ডেঙ্গু রোগের কারণ? ২০২৪ ।

সাধারণত বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের খুবই উপদ্রব্য বেড়ে গেছে । আজকে সাধারণত আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ,  ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে ডেঙ্গু রোগের কারণ  । বর্তমান সময়ে এটি একটি মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ হয়ে পড়ছে যা জনজীবনে দিনে দিনে ছড়িয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে ।  আজকে আমরা এই মরণঘাতী রোগ  সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । 

 আসেন প্রথমত জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ।  সাধারণত ডেঙ্গু রূপ কোন কোন কারণবশত হয়ে থাকে সে সম্পর্কে জানব এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে আমরা নিছি জেনে নেব ।  এ সকল তথ্য নিম্নলিখিত করা হয়েছে ।

 ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ

  1. সর্বপ্রথম আমরা দেখব স্বাভাবিক জ্বরের থেকে যদি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হতে পারে যা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী  হয় । 
  2. এছাড়াও যদি দেখা যায় চোখের পিছনে ব্যথা অনুভব হয় এটি একটি লক্ষণ হতে পারে । 
  3.  শরীর প্রচন্ড ব্যথা যেমন,  পেশি, হার হার  জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে ।
  4.  চোখ  লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া হতে পারে । 
  5.  স্বাভাবিকভাবে  বমি বমি ভাব হতে পারে ।
  6.  স্বাভাবিকের থেকে খাবার ইচ্ছা কমে যেতে পারে । 
  7.  চামড়ার মধ্যে ফুসকুড়ি বা লালচে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে । 
  8.  এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় রক্তক্ষরণ হতে পারে যেমন,  নাক দিয়ে ,  দাঁতের মাড়ি দিয়ে,  তাছাড়াও  যোনি থেকে রক্ত বের হতে পারে ।

সাধারণত এই লক্ষণগুলো দেখা  দেখা দিলে বুঝতে হবে এটি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ।  অযথা সময় নষ্ট না করে যত দূর সম্ভব আপনার নিকটস্থ হসপিটালে রোগীকে ভর্তি করুন । 

এরপরে জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু রোগ হলে এ করনীয় কি বা প্রতিকার কি।

আর পড়ুন ঘন ঘন প্রশ্রাব হলে কি করনীয়=   ক্লিক 

ডেঙ্গু রোগের প্রতিকারঃ

  • ডেঙ্গু রোগের সেরকম কোনো ক্ষতি কার নেই তবে আপনাকে সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হবে যেমন,  মশা নির্ধারণ করার জন্য মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস বা মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ,  সাধারণত দেখা যাচ্ছে যে জমে থাকা পানির মধ্যে মশা প্রজনন ক্ষেত্র ধরা হয়ে থাকে ।  এ সকল জায়গা থেকে পানি ফেলে দিতে হবে এবং বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।  ঝোপঝাড় যার কেটে ফেলতে হবে ।
  • পরনে সব সময় লম্বা হাতা জামা এবং লম্বা প্যান্ট পরতে হবে যেন শরীর কোন অংশ বের হয়ে থাকতে না পারে । 
  • এছাড়াও ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করা উচিত ।  মশারির ভেতর যে সকল মশাগুলো রয়েছে সেগুলো মারতে হবে ।

সাধারণত ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার এগুলো নীল নির্ধারণ করে মেনে চললে ডেঙ্গু রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব । 

এরপর আসুন জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে ।  কতদিন থাকলে আমরা বুঝতে পারবো যে আসলে কি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হতে পারে ।

 ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকেঃ

 সাধারণত আমরা উপরে দেখে নিয়েছি যে ১০৪ ডিগ্রী ফরেন হাইট জ্বর থাকলে বুঝতে হবে ।  যদি দীর্ঘ দিন আপনার জ্বর না কমে তাহলে নিকটস্থ হসপিটালে রক্ত পরীক্ষা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।  সাধারণত জ্বর ৩ থেকে ৭  দিনে স্থায়ী হলে বুঝতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ । 

আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক ডেঙ্গু রোগের কারন । সচারচর কোন সমস্যার কারনে এই রোগটি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করা যাক । 

 ডেঙ্গু রোগের কারণঃ

 সাধারণত  ডেঙ্গু হচ্ছে একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি যা একটি ভাইরাল সংক্রমণ ।  এটি এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে  ছড়ায় । এডিস মশা হচ্ছে ছোট কালো এবং সাদা মশা যা দিনের বেলায় কামড়ায় । আর এই সকল মশাগুলো কামরার ফলে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দেয় ।  তাই এই রোগ থেকে রেহাই পেতে উপরের যে সকল নিয়মাবলী দেওয়া হয়েছে সেই সকল নিয়মাবলী এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে । 

আর এই কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাসকে স্থান থেকে অন্য স্থানে হস্তান্তর করে ।  যা  মানুষকে ধীরে ধীরে অচল করে দেয় । 

আর জানতে ক্লিক করুন ক্লিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *