সাধারণত বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের খুবই উপদ্রব্য বেড়ে গেছে । আজকে সাধারণত আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার , ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে ডেঙ্গু রোগের কারণ । বর্তমান সময়ে এটি একটি মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ হয়ে পড়ছে যা জনজীবনে দিনে দিনে ছড়িয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে । আজকে আমরা এই মরণঘাতী রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
আসেন প্রথমত জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার । সাধারণত ডেঙ্গু রূপ কোন কোন কারণবশত হয়ে থাকে সে সম্পর্কে জানব এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে আমরা নিছি জেনে নেব । এ সকল তথ্য নিম্নলিখিত করা হয়েছে ।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ
- সর্বপ্রথম আমরা দেখব স্বাভাবিক জ্বরের থেকে যদি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হতে পারে যা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয় ।
- এছাড়াও যদি দেখা যায় চোখের পিছনে ব্যথা অনুভব হয় এটি একটি লক্ষণ হতে পারে ।
- শরীর প্রচন্ড ব্যথা যেমন, পেশি, হার হার জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে ।
- চোখ লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া হতে পারে ।
- স্বাভাবিকভাবে বমি বমি ভাব হতে পারে ।
- স্বাভাবিকের থেকে খাবার ইচ্ছা কমে যেতে পারে ।
- চামড়ার মধ্যে ফুসকুড়ি বা লালচে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে ।
- এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় রক্তক্ষরণ হতে পারে যেমন, নাক দিয়ে , দাঁতের মাড়ি দিয়ে, তাছাড়াও যোনি থেকে রক্ত বের হতে পারে ।
সাধারণত এই লক্ষণগুলো দেখা দেখা দিলে বুঝতে হবে এটি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ । অযথা সময় নষ্ট না করে যত দূর সম্ভব আপনার নিকটস্থ হসপিটালে রোগীকে ভর্তি করুন ।
এরপরে জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু রোগ হলে এ করনীয় কি বা প্রতিকার কি।
আর পড়ুন ঘন ঘন প্রশ্রাব হলে কি করনীয়= ক্লিক
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকারঃ
- ডেঙ্গু রোগের সেরকম কোনো ক্ষতি কার নেই তবে আপনাকে সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হবে যেমন, মশা নির্ধারণ করার জন্য মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস বা মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে , সাধারণত দেখা যাচ্ছে যে জমে থাকা পানির মধ্যে মশা প্রজনন ক্ষেত্র ধরা হয়ে থাকে । এ সকল জায়গা থেকে পানি ফেলে দিতে হবে এবং বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । ঝোপঝাড় যার কেটে ফেলতে হবে ।
- পরনে সব সময় লম্বা হাতা জামা এবং লম্বা প্যান্ট পরতে হবে যেন শরীর কোন অংশ বের হয়ে থাকতে না পারে ।
- এছাড়াও ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করা উচিত । মশারির ভেতর যে সকল মশাগুলো রয়েছে সেগুলো মারতে হবে ।
সাধারণত ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার এগুলো নীল নির্ধারণ করে মেনে চললে ডেঙ্গু রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব ।
এরপর আসুন জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে । কতদিন থাকলে আমরা বুঝতে পারবো যে আসলে কি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হতে পারে ।
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকেঃ
সাধারণত আমরা উপরে দেখে নিয়েছি যে ১০৪ ডিগ্রী ফরেন হাইট জ্বর থাকলে বুঝতে হবে । যদি দীর্ঘ দিন আপনার জ্বর না কমে তাহলে নিকটস্থ হসপিটালে রক্ত পরীক্ষা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । সাধারণত জ্বর ৩ থেকে ৭ দিনে স্থায়ী হলে বুঝতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ।
আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক ডেঙ্গু রোগের কারন । সচারচর কোন সমস্যার কারনে এই রোগটি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করা যাক ।
ডেঙ্গু রোগের কারণঃ
সাধারণত ডেঙ্গু হচ্ছে একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্টি যা একটি ভাইরাল সংক্রমণ । এটি এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় । এডিস মশা হচ্ছে ছোট কালো এবং সাদা মশা যা দিনের বেলায় কামড়ায় । আর এই সকল মশাগুলো কামরার ফলে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দেয় । তাই এই রোগ থেকে রেহাই পেতে উপরের যে সকল নিয়মাবলী দেওয়া হয়েছে সেই সকল নিয়মাবলী এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ।
আর এই কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাসকে স্থান থেকে অন্য স্থানে হস্তান্তর করে । যা মানুষকে ধীরে ধীরে অচল করে দেয় ।
আর জানতে ক্লিক করুন – ক্লিক