অতি পুষ্টি হল একটি স্বাস্থ্য সমস্যা | শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণের পুষ্টি গ্রহণের ফলে এই সমস্যাটি করে থাকে | আসুন দেখে নেই অতি পুষ্টির লক্ষণ /অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ও করনীয় গুলো । শরীরের মধ্যে অতি পুষ্টি থাকার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । সাধারণত একজন মানুষের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণের কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে যা স্থূলতার দিকে পরিচালিত করতে পারে । অতি পুষ্টি থাকার কারণে শরীরের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হৃদরোগ স্টক ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা বা ঝুঁকি থাকতে পারে । আসেন প্রথমত জেনে নেই অতি পুষ্টি কাকে বলে ।
অতি পুষ্টি কিঃ
সাধারণত একটি মানুষের শরীরে যে পরিমাণ পুষ্টি থাকা দরকার এর থেকে অধিক পরিমাণে পুষ্টি থাকলে সেটিকে অতি পুষ্টি বলা হয় । এই অতি পুষ্টি থাকার কারণে অনেক বড় বড় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । আসুন এবার জেনে নেই অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণগুলি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিকে পরিণত হতে পারে তবে এর মধ্যে রয়েছে
অতিপুষ্টির লক্ষণঃ
একজন মানুষ স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করার জন্য তার স্বাস্থ্যের জন্য যে পরিমাণ ভিটামিন বা পুষ্টি প্রয়োজন সেটুকুই তারা গ্রহণ করে . । এর থেকেও যদি অধিক পুষ্টি ভিটামিন গ্রহণ করে তাহলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে । শরীরের মধ্যে পুষ্টি ভিটামিন কম থাকলেও সমস্যা আবার মাত্রার চেয়েও দিক থাকলেও সমস্যা । তাই আসুন দেখি অতি প্রশ্নের লক্ষণ গুলো কি কি
- “স্থুলতা” যা অতিপৃষ্টির সবচেয়ে বড় লক্ষণ । যার শরীরের চর্বি অতিরিক্ত জমার ফলে ঘাটে থাকে ।
- সাধারণত অতি পুষ্টির কারণে হাটের “স্ট্রোক” হতে পারে ।
- এছাড়াও “ডায়াবেটিসের” ঝুঁকি রয়েছে ।
- এরপর মরণব্যাধি “ক্যান্সারের” ঝুঁকি রয়েছে ।
- এছাড়া ওরা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে যেমন “উচ্চ রক্তচাপ” , “কোলেস্টেরল” এর সমস্যা এবং অস্টিওপোরোসিস এর সমস্যা হতে পারে ।
- প্রশ্রাবের সমস্যা ।
- অধিক ওজন বৃদ্ধি ।
উপরের এই সকল লক্ষণ গুলোর কারণে এ সকল সমস্যা হতে পারে । তাই অতি পুষ্টির সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন ভাল ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন । ডক্টর যে সকল দিক নির্দেশনা দেয় সে সকল দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে অতি পুষ্টি থেকে মুক্তি । এছাড়ার নিচে কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেগুলো মেনে চললে এই অতি পুষ্টি থেকে বাঁচা যাবে । তাই চলুন দেখে নেই অতি পুষ্টি হলে করণীয় কি?
মূলত অতিরিক্ত খাবার ফলে এই সমস্যা দেখা দেয় । তাই এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে হলে আপনাকে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করলে দেখবেন খুব অল্প দিনের মধ্যে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে । তাই চলুন কি কি খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে তার একটি চার্ট দেখে আসি,
অতিপুষ্টির হলে করনীয়ঃ
- প্রথমত অতিরিক্ত খাওয়া । এই অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অতি পুষ্টির বড় কারণ ।
- নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস । অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাসের কারণে আপনার অতি পুষ্টি ঝুঁকি বাড়াতে পারে । তাই নিয়মিত খাদ্য অভ্যাস করে তুলুন ।
- অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন । এ সকল ক্যালরিযুক্ত খাবার আপনার অতি পুষ্টির ঝুঁকি বৃদ্ধি করে ।
- এছাড়াও অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন । তিনি যুক্ত খাবার আপনার শরীরকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিবে
- অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড থেকে বিরত থাকুন। ।
প্রতিষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে । এছাড়া খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে । অতি কষ্ট অতিরিক্ত হলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করুন । ওষুধ সেবন করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ । অতি শরীরের জন্য খুবই খারাপ । ধীরে ধীরে বড় কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারে । তাই যত তাড়াতাড়ি পারেন এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন ।