
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায় আজকে সেই বিষয়ে আলোচনা করবো । খুব মনযোগ সহকারে পড়ুন ।সাধারণত একটি মেয়ে সারা জীবনের হচ্ছে স্বপ্ন মা হওয়া । আর এই মা হওয়ার লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভেধারণার প্রায় ২৮ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই এটি বুঝা যায় । তবে এক্ষেত্রে গর্ভধারণের কিছু দিক নির্দেশনা অবলম্বন করা যেতে পারে । যেটা দেখলে বোঝা যায়, গর্ভবতী হওয়ার অসাধারণ লক্ষণ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃদ্ধমান হচ্ছে মাসিকের বিলম্ব । এটি গর্ভধারণের প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘটে থাকে । এছাড়াও কিছু অন্যান্য লক্ষণ গুলোর মধ্যে নিচে তা প্রকাশ করা হলো । যখনই নিজেরই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাবে তখনই বুঝতে হবে যে এগুলি গর্ভধারণের লক্ষণ । চলুন না বেশি কথা আলোচনা না করে দেখে নেয়া যাক লক্ষণগুলো ।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ঃ
- স্থানে কমলতা বা ব্যথা ।
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ।
- তীব্র প্রসবের চাপ বেড়ে যায় ।
- ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব হওয়া ।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত হওয়া ।
- এর মধ্যে রয়েছে পেট ব্যথা ।
কিছু কিছু মহিলা রয়েছে গর্ভধারণের প্রথম দিক থেকেই এই সব লক্ষণগুলো অনুভব করে থাকেন । আবার কিছু কিছু মহিলা আছে যারা গর্ভধারণের পরেই এসব অনুভব করে থাকেন ।
গর্ভধারণ হওয়ার লক্ষণ গুলোর মধ্যে আপনি কোন দিকটি অর অনুধাবন করেছেন তা নির্ভর করে আপনার শরীরের গঠন ও হরমোনের স্তর ভেদে । যখন কোন মেয়ে বা মহিলা প্রথম অবস্থায় গর্ভধারণ করে তখন তার শরীরের প্রোজেস্টেরন এবং হিউম্যান কোড়ীওণীক গোনাডোট্রপিন [এস সি জি] নামক হরমোন গুলোর শরীরে মাত্রাবৃত্তি পায় । উপরে যে সকল লক্ষণ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনার শরীরে যদি দেখা যায় অবশ্যই আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ বা পরীক্ষা করে নিতে পারেন । প্রেগনেন্সি পরীক্ষা গুলি সাধারণত ব্যবধানে প্রায় চার সপ্তাহের মধ্যে সঠিক ফলাফল দিতে পারে । ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার শরীরে যে সকল লক্ষণ দেখা দিয়েছে সে সকল লক্ষণগুলো বলা এবং এর থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে ।
এছাড়া আর কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারেঃ
- পিরিয়ড বা মাসিক মিস হওয়া ।
- ক্লান্তি ক্লান্ত ভাব হাওয়া ।
- পেট ফুলে যাওয়া ।
- হজমে সমস্যা হওয়া ।
- মাথা ব্যাথা করা ।
- অরুচি ।
কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এ সকল লক্ষন দেখা নাও দিতে পারে । যদি এই সকল লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নেবেন ।
আরও অন্যান্য দিকনির্দেশনা মূলক পোষ্ট পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ঃ ক্লিক করুন
দিকনের্দশনাঃ
যখনই দেখবেন আপনার শরীরে এই সকল সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে অবশ্যই আপনি গর্ভবতী বা প্রেগনেন্সি সকল নিয়মকানুন মেনে চলবেন । আর যদি দ্রুত সম্ভব হয় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন এবং পরামর্শ দিবে অবশ্যই সে সকল পরামর্শ মেনে চলবেন ।
প্রেগনেন্সি হওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত এবং আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে । এ সকল খাদ্য আপনার গর্ভে সন্তানকে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করবে । শরীরের গঠন এবং রক্তের শূন্যতা পূরণ করে এবং সকল খাদ্য গ্রহণ করবেন । এছাড়া আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে কোন কোন খাদ্যগুলো আপনার শরীরের জন্য উপকার হবে সেই খাদ্য গ্রহণ করবেন । গর্ভধারণ হওয়ার পরে মেলামেশা করার সময় অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এরপরেই মেলামেশা করবেন তার আগে মেলামেশার করবেন না । এর আগেই মেলামেশা করলে হঠাৎ কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । তাই সবসময় সচেতনতা অবলম্বন করবেন ।