
মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ? মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ও ঔষধ । আজকের মূল আলোচনা হবে এই দুটি বিষয় নিয়ে । আমরা জানি বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে । এছাড়া আরো অনেকগুলো আমাদের অজানা কারণ রয়েছে যেগুলো আজকের এই আলোচনায় প্রকাশিত হবে ।
যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মাথা ব্যাথা হতে পারে । মাথার মধ্যে ধুলাবালি বা ময়লা থাকলে ব্যাথা করতে পারে । এছাড়া নানান রকম কারণেই মাথা ব্যাথা হতে পারে । চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কি কি কারণে মাথা হয় এবং মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ । মাথা ব্যথার বিভিন্ন রোগের লক্ষ্য হতে পারে এর সাধারণ কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো
মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণঃ
- মাইগ্রেন এটি একটি তীব্র ব্যথা স্পন্দিত মাথাব্যথা যার প্রায় সই চোখের চারপাশে ব্যাথার অনুভব হয় , বমি বমি ভাব হয় এবং বমিও হয় ।
- ক্রমশ যে মাথার উপরে অংশে বা পিছনে সংকোচেনের মতো অনুভব হয় এটি হচ্ছে টেনশন হেডেক ।
- চোখের পিছনে ক্রমশই এই ব্যথা ঘটে থাকে এটির নাম হচ্ছে ক্লাস্টার হেডেক ।
- মাথার উপরে মুখ মন্ডলে যে সকল ব্যাথা হয় এই সকল ব্যথাকে সাইনাস ইনফেকশন বলা হয় ।
- মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের আস্তরণের প্রদাহ যা মাথাব্যথা জ্বর এবং ঘাড় শক্ত হওয়ার কারণ হতে পারে এটি কি বলা হয় মেনিনজাইটিস ।
- মাথা ব্যথা দৃষ্টির সমস্যা এবং অন্যান্য স্নায়ুবিক সমস্যা হাতে পারে এগুলো হচ্ছে ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ।
- ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে মাথাব্যথা করতে পারে ।
- ডায়াবেটিস অতিরিক্ত ডায়াবেটিসের কারণে মাথাব্যথা এবং অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে ।
মাথা ব্যাথা যদি তীব্র ও দীর্ঘই হয় তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করানো উচিত । কেন নয় অল্প সমসসা থেকে বড় সমস্যা সৃষ্টি হয় । তাই অবহেলা না করে ভালো একজন আপনার সমস্যার কথাগুলো জানেন । তিনি যে সকল পরামর্শ দেন সেই সকল পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন ।
এছাড়া মাথাব্যথার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে যেমন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হলে মাথা ব্যাথা কমতে পারে । পর্যাপ্ত পানি পান করুন । এছাড়া আরো অনেকগুলো কাজ রয়েছে যেগুলো পারলে মাথা ব্যথা কমতে সাহায্য করে । এরপর আমরা জান বলছি মাথাব্যথা হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে এর চিকিৎসা প্রদান করব । তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক মাথা ব্যাথা হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কি কি কাজ করতে পারি,
মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
প্রথমত একটি পদ্ধতি অবলম্বন করব সেটা হচ্ছে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম দিলে অনেক সময় দেখা যায় মাথা ব্যথা কমে গেছে । পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম ও বিশ্রামের ফলে শরীরের পেশিগুলো শীতল হয় এবং ব্যথা কমে যায় । এছাড়া মাথা ব্যথার জন্য মাথা টিপে নিলে ব্যথা কমে যেতে পারে । কেননা যখন ব্যাথা এক জায়গায় থাকে তখন টিপে দিলে ব্যথাটি ছড়িয়ে চতুর দিকে আস্তে আস্তে কমে যায় । আসুন আরও কয়েকটি মাথা ব্যথা কমানোর ধাপ দেখে নেইঃ
- অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হলে ঠান্ডা বা গরম সেঁক দিক । গরম সেঁক মাথার রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করবে আর ঠান্ডা সেঁক মাথার পেশি গুলোকে শীথিল করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে ।
- লেবুর রস পান করতে পারেন । এর রস দিয়ে মাথা মেসেজ করতে পারেন । লেবুতে রয়েছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যা কমাতে সাহায্য করে ।
- আপনি কফি খেতে পারেন । কফিতে রয়েছে ক্যাফিন যা আমি মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে ।
- এছাড়া আপনি লবঙ্গের তেল মাথায় ব্যবহার করতে পারেন বা মাথায় মেসেজ করতে পারেন ।
- ডিহাইড্রেশন এর কারণে মাথা ব্যাথা করতে পারে । তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন ।
- পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে মাথা ব্যাথা হতে পারে । তাই পর্যাপ্ত ঘুম দিন এবং নিয়মিত ঘুমান ।
- এছাড়াও গরম চা খেতে পারেন আদা দিয়ে । আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে ।
- মধ্যপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন । কেননা এইসব কারণে মাথাব্যথা হতে পারে . ।
দিকনির্দেশনাঃ
উপরের এই সকল দিকনির্দেশনা মেনে কাজ করলে অতি দ্রুত আপনার মাথাব্যথা কমে যাবে । এছাড়া যদি দেখেন যে আপনার মাথা ব্যথা থেকে তীব্রতর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় রয়েছে তাহলে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন । যদি বড় কোন সমস্যা হয় তাহলে এই সকল ঘরোয়া উপায় দিয়ে নাও হতে পারে ।
এছাড়াও কিছু মাথা ব্যাথার ওষুধের নাম রয়েছে । যে সকল ওষুধ খেলে মাথা ব্যথা কমে যেতে পারে । তাই চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি সেই ওষুধগুলো ,
মাথাব্যথা ওষুধের নামঃ
- অ্যাসিটামিনোফেন
- ইবুপ্রোফেন
- অ্যাসপিরিন
এগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারকে বলবেন এগুলো ঔষুধের মধ্যে কোন ওষুধটি ভালো কাজ করে । যে ওষুধটি ভালো অবশ্যই ডাক্তার সেটি খাওয়ার পরামর্শ দেবে ।